বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী নির্দেশক উত্তম গুহ। গেল ২০২০’ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি দশমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন একজন শিল্প নির্দেশক হিসেবে। গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’ সিনেমার শিল্পী নির্দেশক হিসেবে তিনি দশমবারের মতো এই জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন। এর আগে যতোবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি তার স্ত্রী অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ’কে তিনি বেশ কয়েকবার এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন।

কিন্তু এবার তিনি এই পুরস্কার যারা তার সঙ্গে সবসময় কাজ করেন তাদেরকেই উৎসর্গ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তিতে স্ত্রীর ভূমিকা প্রসঙ্গে উত্তম গুহ বলেন, ‘আমার স্ত্রী দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ’র অনবদ্য ভূমিকা আছে বলেই আমি শিল্প নির্দেশনার কাজটা ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যতা নিয়ে করে যেতে পারছি। একজন শিল্পী নির্দেশককে কতো টাকা দেয়া হয়, তা মোটামুটি সিনেমার সবাই অবগত আছেন।

আমাদের কাজের ক্ষেত্রে একটা ভুল ধারণা প্রচলতি আছে যে আমি নাকি আমার কাজের জন্য অনেক পারিশ্রমিক নেই। এটা কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। যাই হোক, আমার স্ত্রী যদি আমাকে, আমার পরিবারকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট না দিতো, তাহলে এই শিল্প নিয়ে কাজ করা সম্ভব হতো না। আমার স্ত্রী শিল্প নির্দেশনার নেপথ্যে আমার অত্যাচার সহ্য না করলে আমার এতোবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তি ঘটতনা। তার বিরাট সহযোগিতাকে, আমার কাজটির প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধাকে, সর্বোপরি আমার হয়ে আমার পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য তাকে স্যালুট জানাই।’

উত্তম গুহ জানান, ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট মুক্তিপ্রাপ্ত মোস্তফা ওয়ারী পরিচালিত ‘প্রতিঘাত’ সিনেমায় শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করেন। এরপরই শেখ নিয়ামত আলীর ‘অন্যজীবন’ সিনেমার জন্য কাজ করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তানভীর মোকাম্মেলের ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ , ‘লালন’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাছন রাজা’, গাজী মাহবুবের ‘রাজা সূর্য খাঁ’, গাজী রাকায়েতের ‘মৃত্তিকা মায়া’, গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ ও এম এ আলমগীরের ‘একটি সিনেমার গল্প’র জন্য একই সম্মাননা লাভ করেন।

বর্তমানে উত্তম গুহ জেড এইচ মিন্টুর ‘ক্ষমা নেই’ ও আবদুস সামাদ খোকনের ‘শ্রাবণ জোছনায়’ সিনেমার শিল্প নির্দেশনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। সর্বশেষ তিনি নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল’ সিনেমার কাজ করেছেন।

 

 

কলমকথা/ বিথী